আপডেট: জুন ২, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকা, স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়ায় দেশের সর্বত্র পত্রিকার বিক্রি কমে যাওয়ায় হকারদের আয়ও কমে গেছে। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর কেন্দ্রীক অসংখ্য পত্রিকার হকার দৈনন্দিন খবরের কাগজ নিয়ে ছুটে চলেন হকাররা। পাঠকের কাছে সংবাদপত্র পৌছে দিতে এক স্থান থেকে ছুটে চলেন অন্যস্থানে। কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমেনর কারণে অনেক পাঠকই এখন আর নিয়মিত পত্রিকা সংগ্রহ করেন না। যদিও খবরের কাগজে করোনা ভাইরাস ছড়ায় না।
একাধিক পত্রিকার হকারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অনেকেই পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালান। এক বছরের উপরে করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে অনেক গ্রাহকই তাদের এখন আর বাড়ির ত্রিসীমানায় ঢুকতে দেন না।
তারা বলেন, পত্রিকার সবচেয়ে বেশি গ্রাহক হচ্ছে কলেক শিক্ষার্থীরা। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। ফলে তাদের পত্রিকা বিক্রি অনেকাংশে কমে গেছে।
সাইফুল ইসলাম নামের একজন হকার বলেন, করোনার আগে দৈনিক প্রায় ৩শ পত্রিকা বিক্রি করলেও এখন ১শ পত্রিকা বিক্রি করাও দায়। সংসার খরচ মেটাতে বাধ্য হয়ে অন্য পেশা শুরু করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে আমাদের কষ্টের কোন মূল্য নাই। করোনা ভাইরাসের কারনে সবাই ত্রাণ পেলেও আমরা কিছুই পাই নাই। তবে কোন কোন পত্রিকার মালিক ত্রান দিলেও তা একদিনের বেশি নয়। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।