আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুরে রিপন নামে মুসলিম যুবককে বিয়ে করেছেন (পূজা রানী) রাইসা নামে ধর্মান্তরিত হওয়া এক নওমুসলিম। এ ঘটনার পর থেকে বিয়ে-বিচ্ছেদের জন্য রাইসার পরিবারের পক্ষ থেকে রিপনকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাইসার স্বামী রিপন জানান, ২০১৯ সালে জানুয়ারিতে দাগনভূঞায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে রংপুর জেলার উত্তম ভাওয়াইয়াপাড়ার বাসিন্দা বাদশা মিয়ার ছেলে মো. রিপন। এ সুবাদে রিপনের সঙ্গে জগতপুর গ্রামের সুনীল চন্দ্র দাসের মেয়ে পূজা রানী দাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
একপর্যায়ে পূজা ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যরা জেনে বসুরহাট এলাকার সুজনের সঙ্গে জোরপূর্বক পূজাকে বিয়ে দেয়। বিয়ের দুই দিন পর পূজা পালিয়ে রংপুরে রিপনের কাছে চলে যায়।
এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পূজা নাম পরিবর্তন করে রাইসা রিপন হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং পর দিন রাষ্ট্রীয় আইন মোতাবেক রিপনের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরিবারের নিখোঁজ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান রংপুর থেকে রাইসা রিপনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
রিপনের অভিযোগ, তার স্ত্রীর বৈধ কাগজপত্র দেখালে ডিবির এসআই মিজান ছিঁড়ে ফেলে দেন। একপর্যায়ে রংপুরের একটি আদালতে গত ২৯ মার্চ পূজার বাবা সুনীল চন্দ্র দাস, মা বিউটি রানী দাসকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তিনি স্ত্রী রাইসাকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। এরপর থেকে সুনীল দাস মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে রিপন অভিযোগ করে। বৈধভাবে রাইসাকে বিয়ে করে এখন স্ত্রীকে হারানো ও জীবননাশের হুমকিতে আছেন বলে জানান রিপন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, পরিবারের নিখোঁজ ডায়েরির পর রাইসাকে (পূজা) উদ্ধার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত পরবর্তীতে তার মায়ের জিম্মায় দিয়েছেন রাইসাকে।