নিউজ ডেস্ক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে না। নির্বাচনের যে প্রতীক আওয়ামী লীগের ছিল, তা ব্যালট পেপার থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন স্থগিত করে রেখেছে, যার ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা প্রায় অনিশ্চিত।
এখন তাদের ভোট যদি জাতীয় পার্টিতে যায়—এই ভয়ে দ্বিতীয়স্থানে যে দলটি থাকতে চাচ্ছে, তারা জাপাকে ভয় করছে। আর সেকারণেই দলটিকে নির্বাচন থেকে সড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাসুদ কামাল এসব কথা বলেছেন।
মাসুদ কামাল বলেছেন, আমি ধরে নিচ্ছি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, কারণ নির্বাচনের আর মাত্র পাঁচ মাস বাকি।
যদি তারা নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে তাদের ভোটগুলো কোথায় যাবে? অনেকগুলো সম্ভাবনা ছিল। আওয়ামী লীগের কয়েকজন ভোটার আমাকে বলেছিল, তারা হয়তো ভোট দেবেন না, আবার কেউ কেউ বলছে, এই ভোটগুলো বিএনপির দিকে যেতে পারে, জামায়াতের দিকেও কিছু ভোট যেতে পারে, আবার কেউ কেউ এনসিপিকে দিতে পারে। সবচেয়ে সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি হলো, যদি জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয় এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকরা জাতীয় পার্টিতে চলে আসে, তাহলে নির্বাচনের ফল আমূল পরিবর্তিত হতে পারে, যা অনেকেই চিন্তা শুরু করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, যেসব দল দ্বিতীয় স্থানে থাকার জন্য আশা করছে, তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারে।
আর এই আতঙ্ক থেকে বের হওয়ার সম্ভাব্য উপায় হতে পারে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে দেখিয়ে তা নিষিদ্ধ করা সম্ভব হয়েছে, তবে জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে ফ্যাসিস্ট কার্যক্রম দেখিয়ে দলটি নিষিদ্ধ করতে হবে। সেজন্য, জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে কিছু ঘটনা ঘটলে, তাদের ওপর হামলা করলেই তা ফ্যাসিস্ট কার্যক্রম হিসেবে দেখানো যেতে পারে, যা আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে দলটি নিষিদ্ধ করতে সাহায্য করবে।তিনি মনে করেন, খুব শিগগিরই দলটির নিষিদ্ধের দাবি ওঠবে। কারণ যদি দলটিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা না যায়, তাহলে দ্বিতীয় স্থানে থাকার যে দলটির ইচ্ছা, আতঙ্ক তাদের পিছু ছাড়বে না।
এই মুহূর্তে যে বিশেষ দলগুলো ক্ষমতাশালী, তারা দলটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য চেষ্টারত রয়েছে।