আপডেট: মে ৬, ২০২১
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নির্বাচনী প্রচারে বিখ্যাত সংলাপ আওড়ে প্রচুর হাততালি পেয়েছেন। তবে জয়ের মুখ দেখেননি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারকা প্রার্থীকে নয়, বাঁকুড়ার মানুষ নিজেদের জন্য বেছে নিয়েছে বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধিকে।
জীবনের প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েও দমে যাননি অভিনেত্রী। এগিয়ে এসেছেন কাজ করতে। সেখানকার মানুষের পাশে থাকতে। কোভিড আক্রান্তদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ইনস্টাগ্রামে জানালেন অভিনেত্রী। মানুষের সুবিধার্থে ভাগ করে নিয়েছেন একাধিক যোগাযোগ নম্বর।
প্রচারের শুরু থেকেই বলেছিলেন, বাঁকুড়ার সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাঁর। দাবি করেছিলেন, নিজের পরিবারের সমস্যা যে ভাবে সমাধান করেন, সেখানকার মানুষের সমস্যার সমাধানও খুঁজবেন সে ভাবেই। তাই প্রাপ্ত ভোটের অঙ্কে নজর দিচ্ছেন না অভিনেত্রী। কারণ তিনি হেরে গেলেও, রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বার ‘অভিভাবিকা’ হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের মানুষদের। তার সঙ্গেই জানিয়েছেন, হার-জিতের ঊর্ধ্বে গিয়েই তাঁদের পাশে থাকবেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘কয়েকটা ভোটের ব্যবধানে আমার প্রতিশ্রুতিগুলো বদলায়নি। প্রথম দিনের মতো আজকের দিনেও আমি ঠিক একই কথা বলব, সুখে না থাকতে পারি দুঃখে অবশ্যই থাকব’।
২০১৯-এর লোকসভায় পিছিয়ে থাকা আসনকে সায়ন্তিকা খানিক এগিয়ে এনেছেন বিধানসভা নির্বাচনে। সদ্য রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়া অভিনেত্রীর কাছে এই গতি সাফল্যের চেয়ে কম কিছু নয়। অতিমারিকালে তাই টলিউডের চাকচিক্য থেকে বেরিয়ে বাঁকুড়ার মানুষের পাশে সায়ন্তিকা।