২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

টিকার অপেক্ষায় ২৩ লক্ষাধিক মানুষ

আপডেট: মে ১৩, ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ মানুষ প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার বিপরীতে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩৫ লাখের মতো, এখনো অপেক্ষায় ২৩ লাখের বেশি মানুষ। অথচ হাতে মজুত ১০ লাখেরও কম। যা দিয়ে ঈদের পর সপ্তাহখানেক চালানো যাবে টিকাদান কর্মসূচি। সংকট কাটাতে কোভ্যাক্সসহ নানা উৎস থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংগ্রহের চেষ্টায় বাংলাদেশ। মাসখানেকের আগে সে টিকা হাতে পাওয়ার সম্ভাবনাও কম।

এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকটময় সময়ে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নেয়া যেতে পারে।

অক্সফোর্ডের দ্বিতীয় ডোজের ১৫ লাখ টিকার ঘাটতি মেটাতে নানা উৎস থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। গত ২৬ এপ্রিল বন্ধ করে দেয়া হয় প্রথম ডোজের টিকাদান। ৫ মে থেকে বন্ধ করা হয় নিবন্ধনও। এ অবস্থায় দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিতে ঘাটতি প্রায় ১৫ লাখ টিকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই ডোজের মধ্যে ১৬ সপ্তাহের ব্যবধানটা সমস্যা নয়। চীন থেকে আসা উপহারের ভ্যাকসিনেও কোভিশিল্ড প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করা হবে।

কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহীদুল্লা বলেন, ১৪-১৫ লাখ মানুষ এখনো দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। তাদের তিন মাস অতিক্রম হওয়ার আগেই টিকা দেয়া যায় তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। কোনো ক্ষেত্রে চার মাস পর দেয়া যাবে।

এদিকে, বুধবার দেশে আসার কথা চীন থেকে উপহারের ৫ লাখ ডোজ। ৩ সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ করে যা দেয়া যাবে আড়াই লাখ মানুষকে। প্রাথমিকভাবে এক হাজারের মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সপ্তাহখানেক পর পরিকল্পনা রয়েছে গণহারে প্রয়োগের।

কোভিড টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, যারা টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন তাদেরকে চীনের সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে।

নিবন্ধন করার পরও এখনো টিকা না পাওয়া মানুষের সংখ্যা ১৪ লাখ ২৯ হাজার।

86 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন