২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

করোনার তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ রূপ নেয়ার আশংকা বিজ্ঞানীদের

আপডেট: মে ৬, ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ ভারতে দিন দিন করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভেঙে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৩ হাজার ৯৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বলছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের করোনাভাইরাস আরও দ্রুত প্রসারণশীল হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়বে। তবে কবে নাগাদ এই তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে তার কোনো ইঙ্গিত দেননি বিজ্ঞানীরা।

রাজধানী দিল্লিসহ বহু জায়গা থেকে হাসপাতালে অক্সিজেনের সঙ্কটের খবর এখনও আসছে। ডাক্তাররা খোলাখুলি তাদের অসহায়ত্বের কথা বলছেন।

পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে একের পর এক উচ্চ আদালত কোভিড সামাল দিতে সরকারের ব্যবস্থাপনাকে কঠোর ভাষায় তিরস্কার করছে, নির্দেশনা দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন অক্সিজেনের সঙ্কট পুরো সমস্যার একটি মাত্র দিক, কিন্তু তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারগুলো প্রস্তুত ছিল না।

কিন্তু অনেক আগে থেকেই বার বার এর জন্য সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। গত বছর নভেম্বরে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় কমিটি সরকারকে সতর্ক করে যে অক্সিজেনের যথেষ্ট মজুদ নেই এবং হাসপাতাল বেডের বড় সংকট রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেন যে আরেক দফা ‘কোভিড সুনামি‘র সম্ভাবনা নিয়ে তারা শঙ্কিত।

এদিকে ভারত সরকারের প্রধান বিজ্ঞান উপদেষ্টা ডা. কৃষ্ণস্বামী বিজয়রাঘবন বলেছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের করোনাভাইরাস আরও দ্রুত প্রসারণশীল হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়বে।

তবে কবে এই তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে তার কোনো ইঙ্গিত তিনি দেননি। ডা. কৃষ্ণস্বামী বিজয়রাঘবন বলেছেন, মানবদেহে কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠায় ভাইরাস দ্রুত কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নতুন চরিত্র নিচ্ছে। তৃতীয় এই ঢেউ সামলানোর জন্যে তিনি ব্যাপক টিকাকরণের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।

এমিরেটাস অধ্যাপক ডা. কৃষ্ণস্বামী বিজয় রাঘবন দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিকাল সায়েন্সেসের সাবেক পরিচালক। ২০১৮ সালের মার্চে তাকে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট ড. শহিদ জামিল বলেন, ‘সরকার দেখতেই পারেনি যে কোভিডের দ্বিতীয় আরেকটি ঢেউ আসছে। আগেভাগেই তারা বিজয়ের উৎসব শুরু করে দিয়েছিল।’

তবে এর পাশাপাশি আরো কাহিনী রয়েছে: কোভিডের এই বিপর্যয় চোখে আঙ্গুল দেখিয়ে দিয়েছে ভারতে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা উপেক্ষিত, কতটা নাজুক।

ভারতে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য রয়েছে ১০ জনেরও কম ডাক্তার। কোনো কোনো রাজ্যে এই সংখ্যা পাঁচেরও কম।

194 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন