২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বন্দরের ইফিশিয়েন্সি বাড়াতে আন্তর্জাতিক অপারেটর প্রয়োজন: উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন

আপডেট: জুলাই ২৫, ২০২৫

অনলাইন নিউজঃ চট্টগ্রাম পোর্ট নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রোপাগান্ডা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম পোর্ট বাংলাদেশের সম্পদ, দেশের স্বার্থে এই পোর্ট নিয়ে কোনো প্রোপাগান্ডা যেন না হয়।’

বন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেতে চাই, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না।’

শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরে আন্তর্জাতিক মানের কেমিক্যাল শেড উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা জানান, এনসিটি (নিউ ক্লিয়ার টার্মিনাল) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। ‘আমিও টেকওভার করার পর থেকে বিষয়টি শুনে আসছি। যারা ১৭-১৮ বছর ধরে এখানে কাজ করেছেন, আমি বলবো তারা খারাপ করেননি। তবে আমরা এটিকে আরও কার্যকর এবং দক্ষ করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এখানে যে কনটেইনারগুলো লোড হচ্ছে, সেগুলো সিঙ্গাপুরে যাবে। সেখানে ট্রান্সশিপমেন্ট হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, সিঙ্গাপুরের বেশিরভাগ পোর্টই বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়। আমাদের ইফিশিয়েন্সি বাড়াতে হলে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেরা অনেক ভালো করছি, কিন্তু ইফিশিয়েন্সি আরও বাড়াতে হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করতে হবে। পোর্ট তখনই আন্তর্জাতিকভাবে এগোবে, যখন সেখানে আন্তর্জাতিক অপারেটর যুক্ত হবে। তবে অপারেটর আলাদা বিষয়, আর পরিচালনা সম্পূর্ণ আমাদের হাতে। আমরা আগের অপারেটরের জায়গায় হয়তো নতুন কাউকে দায়িত্ব দিয়েছি, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য একটাই, ইফিশিয়েন্সি বৃদ্ধি।’

সাখাওয়াত হোসেন জানান, ইন্টেরিম পিরিয়ডের জন্য এনসিটি ড্রাইডককে দেওয়া হয়েছে, যাদের সাথে নেভি আছে। তিনি বলেন, ‘আমি জানতে পেরে আনন্দিত, এই সময়ে গড়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটি বড় অর্জন, আমি আশা করব তারা এটি ধরে রাখবে।’

বন্দর ট্যারিফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এককভাবে মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রধান বন্দরের ট্যারিফ বিশ্লেষণ করেছি এবং দেখতে পেয়েছি, আমাদের পোর্টের ট্যারিফ এখনো অনেক কম, এমনকি মোংলা বন্দরের চেয়েও কম। ১৯৮৬ সালের পর বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানো হয়নি। তখনকার এক টাকার মূল্য এখন কত হয়েছে, সেটাও বিবেচনায় নেওয়া উচিত।’

তিনি সকলকে অনুরোধ করেন, দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে পোর্ট ইস্যুতে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য।সূত্রঃসিটিজিপোষ্ট

90 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন