২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

উপচে পড়া ভিড়, আরও ক্রেতা চান দোকানীরা !

আপডেট: মে ১২, ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ রাজধানীর নিউমার্কেটে সহ বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। আরও ক্রেতা চাই দেকানাীদের। তাদের দাবি, অন্যদিনের চেয়ে আজ বিক্রি কম। যদিও রাজধানীর নিউমার্কেট ও গাউছিয়া মার্কেটে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। চারদিকে মানুষে মানুষে ঠাঁসা।

 

মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে। দেখা গেছে, ফুটপাতে ও মার্কেটগুলোর ওপর ও নিচতলায় ভিড় আর ভিড়।

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে নিউমার্কেটে এসেছেন নাদিয়া চৌধুরী। নাদিয়ার ছোট মেয়ের নাম কবিতা চৌধুরী। হাসতে হাসতে কবিতা বলে উঠল, ‘মায়ের সঙ্গে এসেছি। ভালো লাগছে। মা আমাদের দুই বোনকে গাউন কিনে দিছে।’

একজন ক্রেতা মুঠোফোনে বলছে, ‘কেনাকাটা শেষ। এখনি চলে যাব। এখানে মানুষ আর মানুষ। করোনার কারণে বেশি সময় থাকা ঠিক হবে না।’

নিউমার্কেটের হাজী পাঞ্জাবি পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, ওই দোকানের ভেতরে সাতজন ক্রেতা পাঞ্জাবি দেখছেন। মামুন হোসেন নামের এক ক্রেতা সেখান থেকে দুটি পাঞ্জাবি কিনেছেন। মামুন বলেন, ‘অনেক ঘোরাঘুরি করলাম। এখান থেকে দুটি পাঞ্জাবি কিনলাম। ঈদের দিন দুই ভাই পরব। দুই ভাই-ই এবার ঢাকায় ঈদ করব। করোনার কারণে বাড়িতে যাচ্ছি না।’

পাঞ্জাবি বিক্রেতা বললেন, ‘ভালোই বিক্রি হচ্ছে। লোকজনও কম না। তবে আরও বেশি বিক্রি হওয়ার কথা। আমরা আশা করছি, আজ-কাল আরও বেশি বিক্রি হবে।’

মানুষের জন্য নিউমার্কেটের ভেতরে হাঁটাহাঁটি করতে সমস্যা হলেও ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেছে, চন্দ্রিমা মার্কেটে। অন্তত ৫০টি প্যান্ট-জামার দোকানে দিয়ে দেখা গেছে, তুলনামূলক ভিড় কম। কোনো কোনো দোকানি ক্রেতাহীন বিশ্রামে বসে আছেন।

লতিফ গার্মেন্টস নামের একটি দোকানের মালিক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বেচাবিক্রি কম তা বলছি না। তবে গতকালের চেয়ে আজ অনেক কম ক্রেতা। বিক্রিও গতকালের চেয়ে কম। তবে আশা করছি, সন্ধ্যার পর ক্রেতা বাড়বে।’

ঢাকা ফ্যাশন নামের আরেক দোকানের বিক্রেতা আবু হানিফ বলেন, আজ মানুষ কম থাকার কারণ হচ্ছে, অনেকেই এরই মধ্যে গ্রামে চলে গেছেন। এখন মূলত ঢাকায় ঈদ যারা করবেন, তারা কেনাকাটা করতে আসছেন। অন্যবারের ঈদের চেয়ে এবার বিক্রি কম এটা ঠিক, তবে গত কয়েকদিন ভালোই বিক্রি করা গেছে। আশা করছি ইফতারের পর আরও ভিড় বাড়বে। আমরা অপেক্ষায় রয়েছি।

নিউমার্কেট ও চন্দ্রিমা মার্কেট ঘুরে নিউমার্কেটের ওভারব্রিজের নিচে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতের জুতা ও কাপড়ের দোকানগুলোতে লাইন দিয়ে ক্রেতা দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিক্রেতাও মন দিয়ে বিক্রি করছিলেন। নাজমুল হক নামের এক জুতা বিক্রেতা বলেন, ‘ঈদ চলে এলো প্রায়। আজ কম বিক্রি হলে চলবে? দেখেন না, আপনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি না। ক্রেতাকেই সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

পাশের এক জুতার দোকানে মেয়েকে নিয়ে জুতা দেখতে দেখতে তানজিলা আক্তার বলেন, ‘মেয়ের জন্য জুতা কিনেতে এসেছি। গতকাল একবার কিনেছি। তা মেয়ের পছন্দ হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে এলাম। কিনেই চলে যাব। দাঁড়িয়ে মানুষের ঠেলায় জুতাও দেখতে পাচ্ছি না। আসার পর আমার মনে হয়েছে, এখানে করোনা ঘুরতেছে চারদিকে।

286 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন