১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে গ্রেফতার আ.লীগ নেতাকে ছাড়াতে থানা ঘেরাও

আপডেট: মে ১৭, ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বরিশালে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতারকৃত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানা ঘেরাও করেছে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে সোমবার দুপুরে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা ঘেরাও ও বিক্ষোভ করে।

এ সময় তারা নানান শ্লোগান দেন এবং ওই কর্মীকে ছাড়া না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাও দেন তারা।

সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাতে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ২৯ মার্চ ইউনিয়নের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সহসভাপতি গোলাম রসূলসহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলা চালানো হয়।

৩০ মার্চ বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় গোলাম রসূল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্মী রিপন মাঝিসহ ছয়জনের নামে ও ১০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। সেই মামলায় রোববার রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবুর নেতৃত্বে দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এয়ারপোর্ট থানা ঘেরাও করে। রিপনকে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেন নেতাকর্মীরা।

পরে নেতাকর্মীরা নগরীর সোহেল চত্বরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং রিপনকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানায়।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু বলেন, ‘বরিশালে কিছু চাঁদাবাজ, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতদের করা মামলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের ওই ভাইকে মুক্তি দেয়া না হলে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার রাজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিম, সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত।

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বরিশাল জেলার সদস্য সচিব মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘কাশিপুরে নিরীহ অটোচালকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করত একটি চক্র। সেই ঘটনায় সরেজমিনে গিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। প্রতিবাদ করায় আমাদের নেতাকর্মীরা হামলার শিকারও হয়েছে। চাঁদাবাজির ঘটনায় ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।’

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ‘ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করায় কিছু লোকজন থানার সামনে জড় হয়েছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তিকে সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

257 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন